| |

দিনে-রাতে সমানে কামড়ায় মশা, অতিষ্ঠ নগরবাসী

নিউজ-ডেস্ক, আজকের বাংলাদেশ;
গাজীপুর মহানগরীতে মশার উপদ্রব বেড়েই চলেছে। সিটি করপোরেশন থেকেও মশা নিধনে নেওয়া হচ্ছে না তেমন কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ। ফলে, দরজা-জানালা লাগিয়ে, কয়েল জ্বালিয়ে কিংবা মশারি টাঙিয়েও রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না মশার কামড় থেকে। দিনের বেলাতেও টাঙানো লাগছে মশারি। 
Table of Contents

নগরবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বেশিরভাগ এলাকায় রয়েছে পঁচা আর্বজনায় ভরপুর ও ছোট-বড় নালা। এইসব নালায় বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়ির নোংরা পানি জমা থাকে। সিটি করপোরেশনের যেসব এলাকায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা রয়েছে সেগুলো অনেক দিন সংস্কার না করায় সেখান থেকে মশার জন্ম হচ্ছে। এছাড়াও সিটি করপোরেশনের অব্যবস্থাপনার কারণে যেখানে সেখানে ফেলা হচ্ছে বর্জ্য। আর এভাবে মশার বিস্তার আর উৎপাতে অতিষ্ঠ নগরবাসী। মশারি টাঙিয়ে, কয়েল জ্বালিয়ে, ইলেক্ট্রিক ব্যাট কিংবা মশানাশক ওষুধ স্প্রে করেও সুফল মিলছে না। সকালে মশার উপদ্রব একটু কম থাকলেও বিকেলে নিদিষ্ট স্থানে স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকার উপায় নেই।

গাজীপুর সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, মশক নিধন কার্যক্রমের জন্য ২০১৭–১৮ অর্থবছরে সিটি করপোরেশনের ব্যয় দেখানো হয়েছে ১০ লাখ ৩৪ হাজার ৬১৬ টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এই ব্যয় দেখানো হয়েছে ৭ লাখ ৩৯ হাজার ৭০ টাকা। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ব্যায় ধরা হয় ১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। ২০২০-২১ অর্থ বছরে ৮ লাখ ৩৪ হাজার, ২০২১-২২ অর্থ বছরে ৮ লাখ ৫০ হাজার এবং ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ২০ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছিল।
এবিষয়ে জানতে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপক সোহেল রানা গণমাধ্যমে বলেন, নগর ভবন থেকে প্রতিটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলদের অফিসে তাদের চাহিদা মতো মশার ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছে। এখন ওষুধ ছিটানোর দায়িত্বটা তাদের ওপর।

কোন মন্তব্য নেই