| |

গাজীপুরের ২৬৬ হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টের রুল

নিউজ-ডেস্ক, আজকের বাংলাদেশ;
গাজীপুরে যেসব বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ভবনে অকুপেন্সি সার্টিফিকেট নেই তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন কোড অনুযায়ী কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে (ডিজি), পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি), গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও গাজীপুরের সিভিল সার্জনকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়। 
Table of Contents

একই সঙ্গে, অকুপেন্সি সার্টিফিকেটহীন গাজীপুরে ২৬৬ হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ভবনের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দায়ের করা আবেদনটি নিষ্পত্তি করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে (ডিজি) ও গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে দায়ের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (৪ জুন) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এসএম মাসুদ হোসাইন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে এদিন রিটের পক্ষে শুনানি ছিলেন মো. কাওসার হোসাইন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। 

এর আগে গত সপ্তাহের ২৬ মে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করা হয়। ওই রিটের বিষয়ে শুনানি নিয়ে দি বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন অ্যাক্ট, ১৯৫২ এর বিধান মোতাবেক কেনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না সেই মর্মে প্রতিপক্ষের প্রতি রুল নিশি জারি করেছেন। পাশাপাশি পিটিশনারের দায়েরকৃত দরখাস্ত নিষ্পত্তির নির্দেশনা দেন। 
  আইনজীবী বলেন, ইতিপূর্বে ২০২৩ সালে ২৯ আগস্ট স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ অন্যান্য বিবাদীদের বরাবর গাজীপুরের অননুমোদিত ব্যবহার অনুপযোগী ভবনে গড়ে ওঠা বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করেন রিট পিটিশনার। কিন্তু, বিবাদী পক্ষ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় পিটিশনার মেহেদী হাসান হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন। 

কোন মন্তব্য নেই