গলাচিপা ডাকুয়ার চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ রায়ের অপসরন ও শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
মোঃ জাহাঙ্গীর প্যাদা, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ রায়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পের সরকারি অর্থ আত্মসাৎসহ সীমাহীন দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছারিতা ও স্বজনপ্রীতিসহ নানান অভিযোগ তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন ও অপসারনসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্থানীয় জনসাধারন।
এসময় চেয়ারম্যানের দূর্নীতর দুই সহযোগী ৫ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য হানিফ গাজী প্যানেল চেয়ারম্যান-১ ও ১ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য
জহিরুল ইসলাম সরদারকে অবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে উপজেলা ও জেলা প্রশাসন এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রতি দাবি জানান তারা।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
মোস্তফা কামাল লিখিত বক্তব্য আরও বলেন, ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থ বছরে প্রকল্প কর্মকর্তার যোগসাজশে একই স্থানে ভিন্ন ভিন্ন নামে একাধিক প্রকল্প দেখিয়ে বরাদ্দ আত্মসাৎ, গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (টি, আর, কাবিখা-কাবিটা) ৪০ দিনের কর্মসূচিতে শ্রমিক দ্বারা প্রকল্পের কাজ করানোর বিধান থাকলেও চেয়ারম্যান নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে ভেকু মেশিনে কাজ করিয়েছেন। শ্রমিক তালিকায় যে নাম আছে ও মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়েছে সেগুলো চেয়ারম্যানের নিজস্ব লোক, আত্নীয় স্বজনের নাম দিয়ে তৈরি করা। যার মোবাইল সীম গুলো চেয়ারম্যানের জিম্বায় রেখে বরাদ্দের লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
এছাড়াও (এজিএসপি), ভুমি হস্তান্তর কর ১%, খেয়াঘাট ইজারা বরাদ্দ, উন্নয়ন সহায়তা তহবিল, কোভিট-১৯ উপলক্ষে বরাদ্দ, নলকূপ স্থাপনে মোটা অংকের টাকা উত্তোলন, হাট ইজারার টাকা, এমপির বরাদ্দ, এডিপি বরাদ্দ, ট্রেড লাইসেন্স দূর্নীতি, ভিডব্লিউবি/ভিজিডি কার্ড ও জেলেদের মানবিক সহায়তা প্রদানে অর্থনৈতিক লেনদেন ও চাল বিতরনের সময় অনিয়মসহ টাকা উওোলন, ইউনিয়ন পরিষদ সংষ্কারে অনিয়ম করে বরাদ্দ আত্মসাৎ, বিভিন্ন মন্দিরে সিসি টিভি নির্মান বরাদ্দ আত্মসাৎ, নিজের বাড়ির মন্দিরের ঘাটলা নির্মাণের স্কীম দিয়ে টাকা আত্মসাৎ, ইউনিয়ন পরিষদের নকশা পরিবর্তন করে নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে পরিষদের নিচে গোডাউন নির্মান সহ একাধিক অভিযোগ তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মো: জাকির হোসেন মোল্লা, মো: মোস্তাফিজ খন্দকার ও রুহুল আমীন মোল্লা বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ রায়, তার সহযোগী প্যানেল চেয়ারম্যান-১ হানিফ গাজী ও ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম এর অপসারনসহ শাস্তির দাবি জানান।
অভিযোগের বিষয়ে চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ রায় বলেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহলের ইন্ধনে অভিযোগকারীরা হেয় প্রতিপন্ন করতে তার বিরুদ্ধে লেগেছেন। তিনি কোনো ধরনের অনিয়ম, দুর্নীতি কিংবা সরকারি অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে জড়িত নন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই তদন্ত কমিটির কাজ এখনো চলমান রয়েছে তবে প্রশাসনিক ভাবে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা নেয়া হনে বলে জানান তিনি।


কোন মন্তব্য নেই