| |

নিয়ন্ত্রণহীন ট্রাক গুঁড়িয়ে দিল ইজিবাইক ও প্রাইভেট কার ; ট্রাকের চালক ও সহকারী গ্রেপ্তার

নিউজ-ডেস্ক, আজকের বাংলাদেশ;
বুধবার দুপুরে খুলনা-ঝালকাঠি মহাসড়কে গাবখান ব্রিজের টোলপ্লাজায় দুর্ঘটনা ঘটে। বিয়ের বৌভাত অনুষ্ঠানে অংশ নিতে চারটি ইজিবাইকে কনের বাড়ির লোকজন ঝালকাঠির ছাগলকান্দার শশীর হাটে বরের বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথে গাবখান সেতুতে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন দুটি ইজিবাইকের যাত্রী। এতে ওই পরিবারের বেশ কয়েকজনের প্রাণ গিয়েছে; বাকিরা হাসপাতালে গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসাধীন।


Table of Contents

১৪ জনের মৃত্যু

বুধবার দুপুর ২টার দিকে খুলনা-ঝালকাঠি মহাসড়কে গাবখান ব্রিজের টোলপ্লাজায় এই দুর্ঘটনায় সবশেষ ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ জানায়। 

সেখানে ঝালকাঠি শহরমুখী একটি সিমেন্টবাহী ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থাকা তিনটি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও একটি প্রাইভেট কারকে ধাক্কা দেয়। এবং বাহনগুলিসহ ট্রাকটি পাশের খাদে পড়ে যায়।

আহতদের মধ্যে ১১ জনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং কয়েকজনকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অনেকের অবস্থাই গুরুতর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

আহতদের মধ্যে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন দুজন। বাকিরা ঝালকাঠিতেই মারা গেছেন।  

বরিশালে মারা যাওয়া দুজন হলেন- পিরোজপুরের স্বরূপকাঠী উপজেলার মেসন্ডা এলাকার সুবিদ আলী হাওলাদারের ছেলে মো. রুহুল আমিন (৭০) এবং ঝালকাঠি সদর উপজেলার রামনগর এলাকার বাদশা মিয়ার প্রতিবন্ধী ছেলে মো. শহীদুল ইসলাম (৩৫)। 

ট্রাকের চালক ও সহকারী গ্রেপ্তার

ঝালকাঠি সদর উপজেলার গাবখান সেতুর টোলপ্লাজায় চারটি বাহনকে চাপা দিয়ে ১৪ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ট্রাকের চালক ও তার সহকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার দুপুরে ঘটনার পর পরেই চালক ও তার সহকারীকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান ঝালকাঠির পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল।

গ্রেপ্তার চালকের নাম আল আমিন হাওলাদার। তার বাড়ি ঝালকাঠি সদরের নবগ্রামে। আর সহকারী নাজমুল শেখ খুলনা সদরের বাসিন্দা। 
  পুলিশ সুপার বলেন, “আল আমিন নিয়মিত চালক ছিলেন না; তিনি বদলি চালক হিসেবে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। তিনি খুলনা থেকে সিমেন্টের বস্তা নিয়ে নিজ বাড়ি যাচ্ছিলেন।”

খুলনা ও বরিশাল মহাসড়কে কেন ‘প্রতিদিন লাশ’


ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক দুটিতে এক বছরে ৪৩২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২০ জনের প্রাণহানির ঘটনায় ২৭১টি মামলা হয়েছে।

হাইওয়ে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, সড়ক বিভাগ বলছে, যানবাহনের অতিরিক্ত গতি, লাইসেন্সবিহীন অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন গাড়ি, মোটরসাইকেলের অনিয়মতান্ত্রিক চলাচল এবং যত্রতত্র পথচারী পারাপারের কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটছে।

সর্বশেষ মঙ্গলবার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ফরিদপুরের কানাইপুর এলাকায় যাত্রীবাহী বাস এবং পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৪ ব্যক্তির প্রাণ গেছে। আহত হয়ে হাসপাতালে আছেন আরও ১৫ জন।  

কোন মন্তব্য নেই