মোবাইল চোর সন্দেহে পিটুনি, হত্যার অভিযোগে আটক ৩
নিউজ-ডেস্ক, আজকের বাংলাদেশ;
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ি এলাকায় মোবাইল চোর সন্দেহে জুয়েল তালুকদার নামে এক দিনমজুরকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আব্দুল হক নামে আরও একজনকে মুমূর্ষু অবস্থায় গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
Table of Contents
নিহত জুয়েল তালুকদার (৪৩) নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া থানার কেন্দুয়া বাজার এলাকার কছিমুদ্দিন তালুকদারের ছেলে। তিনি কোনাবাড়ি থানার পারিজাত আমতলা এলাকায় হোসেন আলীর বাড়িতে ভাড়া থেকে দিনমজুরের কাজ করতেন।
কোনাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাহউদ্দিন কালবেলাকে বলেন, দুপুরে কোনাবাড়ির পারিজাত আমতলা এলাকায় মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগ এনে দুজনকে গণপিটুনি দেয় স্থানীয় লোকজন। এতে ঘটনাস্থলেই এক দিনমজুর নিহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গ্রেফতার ৩
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার রতনপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হাই আকন্দের ছেলে রফিকুল ইসলাম রনি (৪২), তার স্ত্রী ছালমা বেগম (৩৭) এবং গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী (হরিণাচালা) এলাকার মৃত মেহের আলীর ছেলে এস এম রফিকুল ইসলাম (৬০)। নিহতের স্ত্রী কোনবাড়ী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ রোববার (২৫ মে) কোনাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে। সোমবার (২৬ মে) সকালে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আসামিদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিহত জুয়েল তালুকদার নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার কেন্দুয়া বাজার এলাকার কছিমুদ্দিন তালুকদারের ছেলে। তিনি গত ছয় বছর যাবৎ আমতলা (পারিজাত) এলাকায় হোসেন আলীর বাসায় ভাড়া থেকে চাকরি করেছে। সম্প্রতি জন্ডিস রোগে অসুস্থ হয়ে পড়ায় ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন এবং মাঝে মধ্যে মৌসুমি ফলের ব্যবসা করতেন। রোববার (২৫ মে) দুপুর সাড়ে ১২টায় মহানগরীর কোনাবাড়ীর আমতলা (পারিজাত) এলাকায় মোবাইল চোর সন্দেহ তাকে পিটিয়ে হত্যা করে আসামিরা। এ ঘটনায় গুরুতর আহত আব্দুল হককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।


কোন মন্তব্য নেই