গাজীপুরে প্রাইভেট কারে শিক্ষক দম্পতির মৃত্যুর এক বছরেও তদন্ত শেষ হয়নি, খোলেনি জট
টাইমস-ডেস্ক, গাজীপুর টাইমস;
![]() |
| নিহত শিক্ষক দম্পতি এ কে এম জিয়াউর রহমান ও মাহমুদা আক্তার ওরফে জলি |
এ বিষয়ে গাজীপুরের গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান গনমাধ্যমে (প্রথম আলোকে) বলেন, ‘আমরা এখনো হাল ছাড়িনি। মামলার তদন্তকাজ চলমান রয়েছে। ময়নাতদন্ত বা ভিসেরা প্রতিবেদনে যেহেতু কিছু পাওয়া যায়নি, তাই এখন নিহতের ব্যক্তিগত গাড়িটির রাসায়নিক পরীক্ষার অপেক্ষায় আছি। সেটি করা হলেই পুলিশ তাদের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাতে পারবে।’
প্রতিদিনের মতো একই প্রাইভেট কারে করে গত বছরের ১৭ আগস্ট সকালে কর্মস্থলের উদ্দেশে বের হন জিয়াউর-মাহমুদা। এর পর থেকে তাঁদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরের দিন সকালে গাছা থানাধীন দক্ষিণ খাইলকুর বগারটেক এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা প্রাইভেট কারে তাঁদের নিথর দেহ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ নিহত শিক্ষকদের লাশ উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় জিয়াউর রহমানের ভাই আতিকুর রহমান অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কার্যক্রমে ধীরগতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন নিহত শিক্ষক দম্পতির স্বজনেরা। এ মামলার বাদী ও জিয়াউর রহমানের ভাই আতিকুর রহমান বলেন, ‘পুলিশ আমাদের জানিয়েছে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন বা ভিসেরা প্রতিবেদনে কোনো কিছু পাওয়া যায়নি। আমরা যেহেতু এগুলি বুঝি না, তাই তাদের ওপরেই নির্ভর করতে হচ্ছে। পুলিশের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ আছে। কিছুদিন আগেও পুলিশ তদন্ত করতে আমাকে সঙ্গে নিয়ে একটি সিএনজি স্টেশনে নিয়ে যায়, যেখান থেকে তাদের গাড়িতে গ্যাস ভরা হতো। সেখানে বিভিন্নজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। কিন্তু কিছুই পাওয়া যায়নি। এখন পুলিশ গাড়িটির রাসায়নিক পরীক্ষা করতে চাইছে।’
গাড়িটি ফেরত পাওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেছিলেন আতিকুর। কিন্তু তদন্তের জন্য গাড়িটি আরও কিছুদিন দরকার বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তথ্যসুত্রঃ প্রথম আলো

কোন মন্তব্য নেই