শীঘ্রই উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বুড়িমারী হতে ঢাকা সরাসরি আন্তঃনগর ট্রেন সার্ভিস
আব্দুস সামাদ, গাজীপুর টাইমস;
![]() |
| প্রতীকী ছবি |
ADS BY ADSTERRA
লক্ষ্য করা যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রেনটির নামকরণ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে যা কাম্য নয়। কারণ ট্রেনটির সেবার মান যদি যথাযথ হয় তবে নামকরণ নিয়ে কিছু যায় আসে না। বরং আমাদের দাবী থাকবে, আন্ত:নগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি যথাযথ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় যেন বুড়িমারী হতে ঢাকা পরিচালিত করা। কারণ অত্র এলাকায় ট্রেন যোগাযোগের অতীত রেকর্ড ভালো নয়। ২০১০ সালের পূর্বে মাত্র একটি ট্রেন বুড়িমারী হতে পার্বতীপুর পর্যন্ত যাতায়ত করত।
ADS BY ADSTERRA
বুড়িমারী হতে ভোর ৪:৩০ মিনিটে পার্বতীপুরের উদ্দেশ্যে ট্রেনটি যাত্রা শুরু করতো কিন্তু ফিরে আসার কোন টাইমটেবল ছিলো না,অনেক সময় দেখা যেত ছেড়ে যাওয়ার ২-৩দিন পর ট্রেন বুড়িমারীতে ফিরে আসতো।
কারণ রেল লাইনের স্লিপার ছিলো ১০- ১৫ফুট দূরে দূরে ও অকেজো নাট বল্টুর কারণে ট্রেনটির সর্বোচ্চ গতি ছিলো ঘন্টায় ২০ কি:মি: এবং প্রায়ই লাইনচ্যুত হতো। আর ট্রেন পড়ে যাওয়ার খবর প্রচার হলে ট্রেনে চড়তে মানুষ ভয় পেত। একদিকে ট্রেনের গতি কম,অন্য দিকে ট্রেন পড়ে যাওয়ার ভয়ে মানুষ রেলে যাতায়াতে অনিহা ছিলো।
ADS BY ADSTERRA
যার ফলশ্রুতিতে অত্র এলাকার জনগণ যাতায়াতের জন্য একমাত্র সড়কপথকে বেঁচে নিতো এবং বাসের ব্যবসা খুবই রমরমা অবস্থা ছিলো। ৩২সিটের বাসে ৮০,৯০,১০০ জন পর্যন্ত লোক উঠাতো।বাজারে একটা কথা প্রচলিত ছিল যে বাসের ব্যবসাকে চাঙা করার জন্য ২০১০ সালের পূর্বের সরকার গুলোর দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা ইচ্ছাকৃত ও ন্যাক্কারজনক পরিকল্পনার মাধ্যমে বুড়িমারী টু লালমনিরহাট রেলওয়ে ব্যাবস্থাপনা অকেজো করে রেখেছিলো এবং যদি কোন ব্যক্তি সভা সমাবেশে রেলপথটিকে মেরামতপূর্বক মোটামুটি সচল করার জন্য পলিসি মেকারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করতেন তবে তাকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা ও মসকরা করা করা হতো।
মূলত: ২০১০সাল থেকে অত্র এলাকার ট্রেন যোগাযোগ ব্যবস্থার সোনালী অধ্যায় শুরু হয়েছে এবং বর্তমানে চারটি ট্রেন চলাচল করছে। এর মধ্যে করতোয়া নামে একটি আন্ত:নগর এক্সপ্রেস চালু আছে। শুরুতে সবই ঠিক ঠাক চলছিল। অত্রএলাকার মানুষ পাটগ্রাম স্টেশন থেকে টিকেট কেটে করতোয়া ট্রেনের মাধ্যমে ঢাকায় সহজে যাতায়ত করতো। শুরুতে বুড়িমারী লালমনিরহাট পর্যন্ত শুধু উপজেলা পর্যায়ে স্টেশনে করতোয়া স্টপেজ ছিলো এবং মাত্র ১ঘন্টা ৩৫ মিনিটে(বর্তমানে ২ঘন্টা) ট্রেনটি লালমনিরহাট থেকে পাটগ্রাম আসতো। অত্র এলাকার সাধারণ মানুষের মুখে মুখে এ সরকারের যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পর্কে প্রসংশায় পঞ্চমখ ছিলো। কিন্তু কিছু দিন যেতে না যেতেই দুই একজন ব্যক্তির অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত ও সস্তা জনপ্রিয়তার জন্য একটি আন্ত:নগর এক্সপ্রেস করতোয়াকে যত্রতত্র থামিয়ে লোকাল ট্রেনে পরিণত করেছে । এখন আর অত্র এলারকার মানুষ এ ট্রেন দিয়ে ঢাকা যাওয়ার সাহস পায়না। সরকারের একটা ভালো উদ্যোগের সুফল জনগণ পেলনা। উল্লেখ্য যে ঢাকা টু চট্টগ্রাম (৩০০কি:মি:স্টপেজ ১টি) আন্তঃনগর ট্রেনে প্রতি কি:মি: যত ভাড়া, বুড়িমারী টু লালমনিরহাট (৯০কি:মি; স্টপেজ ৬টি) প্রতি কি;মি:তত ভাড়া। অর্থাৎ যাত্রীরা ভাড়া দিচ্ছে আন্তঃনগর এক্সপ্রেসের আর সেবা পাচ্ছে লোকাল ট্রেনের, এটা মেমে নেওয়া যায় না। আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে আন্তঃনগর বলতে যা বুঝি নগর টু নগর অর্থাৎ শহর থেকে শহর। আর এখানে করতোয়া এক্সপ্রেসটিকে শহর,গ্রাম পাড়া মহল্লা সব জায়গাতেই থামানোর ব্যবস্থা করা হলো যা খুবই দুঃখ জনক। আন্তঃনগর ট্রেনের মান ইজ্জত নস্ট করে দেওয়া হলো।
তাই রেল কতৃপক্ষের নিকট অত্র এলাকার যাত্রীদের প্রাণের দাবী হলো
প্রস্তাবিত তিন বিঘা এক্সপ্রেস যেন বুড়িমারী হতে লালমনিরহাট পর্যন্ত শুধু উপজেলা স্টেশনে স্টপেজ হয়, করতোয়া মত না হয়।
আসুন, নিজে ট্রেনের টিকেট করিএবং অন্যকে টিকেট করতে উৎসাহিত করি।
ধন্যবাদ।

কোন মন্তব্য নেই