আফগানিস্তানকে হারিয়ে সুপার ফোরে বাংলাদেশ
টাইমস-ডেস্ক, গাজীপুর টাইমস;
ADS BY ADSTERRA
কিন্তু পরে নজিবুল্লাহ জাদরানকে নিয়ে জুটি গড়ে আফগানদের ম্যাচে ফেরানোর চেষ্টা করতে থাকেন আফগান অধিনায়ক শহীদি। রান তোলার গতিও বাড়ায় আসরে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা আফগানরা। অস্বস্তিতে থাকা বাংলাদেশকে স্বস্তি এনে দেয় আজকের বড় সংগ্রহের নায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরাজ তার বোলিংয়ে লুপ দিচ্ছিলেন, এবার ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন একটু। তাতেই প্রলুব্ধ হয়ে স্লগ করতে গিয়েছিলেন নজিবুল্লাহ জাদরান, কিন্তু লাইনে যেতে না পেরে হয়েছেন বোল্ড। ম্যাচের প্রেক্ষিতে গুরুত্বপূর্ণ উইকেট।
ADS BY ADSTERRA
এরপর শরীফুল ইসলামের আঘাত। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে আউটসাইড-এজড হয়ে ডিপ থার্ডম্যানে ধড়া পড়েছেন অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদি, যিনি আশা জোগাচ্ছিলেন আফগানিস্তানকে। অধিনায়ক ফেরার পর কাজটি আরও কঠিন হয়ে পড়ে তাদের। বাকি ব্যাটাররা চাপ নিতে না পারায় ২৪৫ রানে শেষ হয় আফগান ইনিংস। এর ফলে ৮৯ রানের জয়ে সুপার ফোর নিশ্চিত হলো টাইগারদের। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নেন তাসকিন। এর পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট আসে শরীফুলের বল থেকে। মেহেদী ও হাসান পান একটি করে উইকেট।
ADS BY ADSTERRA
ধীরে ধীরে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন দুজন। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতক তুলে নেন মিরাজ। ১১৫ বলে ৬টি চার ও দুটি ছক্কা এই মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। এরপর শতক করেন শান্ত। তিনি খেলেন ১০১ বলে ৯টি চার ও দুটি ছক্কা এই শতক করেন। একই ইনিংসে পঞ্চমবারের মতো শতক পেলেন বাংলাদেশের দুজন ব্যাটার। সর্বশেষ এই কীর্তি গড়েছিলেন তামিম ইকবাল ও লিটন দাস, ২০২০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।
মিরাজ-নাজমুল মিলে গড়েন ১৯৪ রানের জুটি। এশিয়া কাপে যে কোনো উইকেটে এটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি। এর আগে ডাম্বুলায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ইমরুল কায়েস ও জুনাইদ সিদ্দিকের ১৬০ রানের জুটিটি ছিল সর্বোচ্চ।
মুজিবকে ছক্কা হাঁকানোর পর ১১৯ বলে ১১২ রানের রিটায়ার হার্ট নেন মিরাজ। আর শান্ত (১০৪) ফিরেন রান আউট হয়ে। শেষ দিকে মুশফিকুর রহিম (১৫ বলে ২৫), সাকিব আল হাসান (১৮ বলে ৩২*) ও অভিষিক্ত শামীম হাসান পাটোয়ারীর (৬ বলে ১১) ক্যামিও ইনিংসে ৫ উইকেটে ৩৩৪ রানের স্কোর পায় বাংলাদেশ।

কোন মন্তব্য নেই