কোরআনের পাখিদের ফ্রি-তে উন্নত খাবার খাওয়ান হোটেল ব্যবসায়ী হালিম
নিউজ-ডেস্ক, আজকের বাংলাদেশ;
মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য, একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে নাহ ও বন্ধু" গানটির পরিপূর্ণ রুপ যেন ফুটে উঠেছে এক হোটেলের খাবার পরিবেশে। কোন সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অনুদান, উদ্দ্যেগ ও সহযোগিতায় নয় ব্যক্তি উদ্দ্যেগে মাসে দুই দিন ৭০/৮০ জন কে ফ্রি-তে উন্নত খাবার খাওয়ান হোটেল ও রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী আব্দুল হালিম।
বিজ্ঞাপন
মাসে দুই দিন হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার ছাত্রদের পাশাপাশি এসব আয়োজনে স্থানীয় গণম্যান্য ব্যক্তিরাও তার দাওয়াত গ্রহণ করে পরিপূর্ণ তৃপ্তি সহকারে খাবার খান।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
সে অনেক স্বপ্ন নিয়ে ছোট ছেলে নাহিদ হাসান কে কোরআনের হাফেজ বানানোর জন্য বিভিন্ন হাফেজিয়া মাদ্রাসায় পড়াশোনা করালেও নাহিদ শেষ পর্যন্ত পড়াশোনা ছেড়ে দেয়।
অনেক চেষ্টা করেও সে তার ছেলে নাহিদকে হাফেজ বানাতে ব্যর্থ হওয়ার যন্ত্রনা যেন তাকে কুরে কুরে খায়। একষ্ট ও যন্ত্রনা তাকে নিয়মিত ব্যথাতুর করে তোলে। সে ছোট বেলায় তাঁর বাবাকে হারিয়ে এতিম হয়েছে এবং শত চেষ্টার পরেও তাঁর ছেলেকে হাফেজ বানাতে না পারায় সে সিদ্ধান্ত নেয় যত দিন বাঁচবে কোরআনের পাখি ও এতিম বাচ্চাদের নিজের সন্তানের মত ভালোবাসবে। আর সেই ভালবাসা থেকেই দোকান চালিয়ে যে আয় হয় সেখান থেকে টাকা বাঁচিয়ে মাসে দুইবার উন্নত খাবার খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত নেন আঃ হালিম।
যেই সিদ্ধান্ত সেই কাজ। কোরআনের পাখিদের জন্য তাঁর এ আয়োজনকে সাধুবাদ জানিয়েছে স্থানীয়সহ ধুরইল হাফেজিয়া কওমী ও এতিমখানা মাদ্রাসার মুহতামিম ও কোরআনের পাখিরা। বেঁচে থাকুক মানবতা উন্মোচিত হোক উদারতা। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আঃ হালিমের মত উদার হোক সমাজের প্রতিটি উচ্চবিত্তরা। তাহলেই সমাজ থেকে দুর হবে হিংসা বিদ্বেষ আর হানাহানি। বেঁচে থাকুক মানবতা। যুগ যুগ ধরে বেঁচে থাকুক মানবতার ফেরিওয়ালা হালিমরা।



কোন মন্তব্য নেই