| |

হবিগঞ্জ-চুনারুঘাট অবহেলিত মানুষের ভাগ্য বদলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে সুমন

নিউজ-ডেস্ক, আজকের বাংলাদেশ;

হবিগঞ্জ-৪ আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন হাই কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

সোমবার প্রার্থী নিজেই বলেন, “প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেউ পাস করে আসতে পারবেন না। প্রত্যেক প্রার্থীকেই একজন করে দলীয় ডামি প্রার্থী রাখতে হবে।

“এক্ষেত্রে আমি দলীয় মনোনয়ন না পেলেও হবিগঞ্জ-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ করব।”

সুমনের এমন ঘোষণার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে অনেকেই তার এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।

বিজ্ঞাপন

 রোববার বিকালে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক দেশের ২৯৮টি আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে। এতে চুনারুঘাট-মাধবপুর নিয়ে গঠিত হবিগঞ্জ-৪ আসনে নৌকার মাঝি হিসেবে বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীর নাম ঘোষণা করা হয়।  

এরপর রাতেই ঢাকা থেকে নির্বাচনী এলাকায় যান সুমন। এ সময় তার শত শত কর্মী- সমর্থক মোটরসাইকেলে করে শায়েস্তাগঞ্জের নতুন ব্রিজ এলাকায় তাকে স্বাগত জানান। তারা মিষ্টি বিতরণ করেন। পরে চুনারুঘাট বাজারে সুমন এক পথসভায় বক্তব্য দেন।

বিজ্ঞাপন

 এদিকে, চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিদ্ধার্থ ভৌমিকের কাছ থেকে সুমনের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহাগ রহমান। দিনব্যাপী চুনারুঘাট উপজেলার সাটিয়াজুড়ি বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ করছেন সুমন।

বিজ্ঞাপন

 ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন আরো জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেউ পাস করে আসতে পারবেন না। প্রত্যেক প্রার্থীকেই একজন করে দলীয় ডামি প্রার্থী রাখতে হবে। এক্ষেত্রে আমি দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে হবিগঞ্জ-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। উল্লেখ্য ব্যারিস্টার সুমন কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক ও ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমির প্রতিষ্টাতা চেয়ারম্যান। 

তিনি চুনারুঘাট-মাধবপুর উপজেলা বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ এবং অর্ধশতাধিক ব্রীজ নির্মান করে উপজেলাবাসীর মন জয় করেছেন। তিনি আরোও বলেন, আমি এমপি হলে চুনারুঘাট-মাধবপুর উন্নয়ন মূলক কাজ করে ইতিহাস তৈরী করবো।

তিনি বলেন, আমি এমপি নমিনেশন নেওয়ার বহু আগে থেকে মানুষের জন্য কাজ করি। অন্যায়ের প্রতিবাদ করি। আমার আদর্শ বঙ্গবন্ধু, নেতৃত্ব শেখ হাসিনা। মনোনয়নপত্র কিনেছি এলাকার উন্নয়ন ও জনগণের পাশে দাঁড়াতে।

হবিগঞ্জের সায়েদুল হক সুমন ২০০৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ সম্পন্ন করার পর ২০০৯ সালে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে চলে যান। সেখানে সিটি ইউনিভার্সিটি থেকে বার অ্যাট ল’ করেন তিনি।

সুপ্রিম কোর্টের এ আইনজীবী এখন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর। আইনজীবী হলেও সুমন পরিচিতমুখ হয়ে উঠেছেন অনিয়মের বিরুদ্ধে তার ‘ফেসবুক লাইভ আন্দোলন’র মাধ্যমে।

নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী, ৩০ নভেম্বর মনোনয়ন জমাদানের শেষ তারিখ এবং ৭ জানুয়ারী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

কোন মন্তব্য নেই