ছিনতায়ের হটস্পট যখন ‘ঢাকা-ময়মনসিংহ’ মহাসড়ক
নিউজ-ডেস্ক, আজকের বাংলাদেশ;
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের আবদুল্লাহপুর - উওরা থেকে চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত সড়কে প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে ছিনতাইয়ের ঘটনা। কখনো রাতের অন্ধকারে পথ আটকে, কখনোবা থেমে থাকা বাসের জানালা দিয়ে ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে যাত্রী-পথচারীদের মূল্যবান জিনিসপত্র। কেউ বাধা দিলে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হওয়াসহ প্রাণ হারাতে হচ্ছে অনেককে।
Table of Contents
এগুলো তো এখন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে গেছে উওরা থেকে চেরাগআলী পর্যন্ত এদের যন্ত্রণায় রাস্তায় চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়ছে।
সড়কটি ঘিরে রয়েছে গাজীপুর মহানগরের টঙ্গী পূর্ব, পশ্চিম, গাছা, বাসন ও সদর থানা এবং ঢাকা মহানগরের উওরা পশ্চিম ও পুর্ব থানা। গত এক বছরে এসব থানা এলাকায় কয়টি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে বা অভিযোগ পড়েছে, তার সঠিক পরিসংখ্যান দিতে পারেনি পুলিশ। তবে থানার ডিউটি অফিসাররা জানান, প্রতি মাসে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ঘটা ছয় থেকে সাতটি ছিনতাইয়ের লিখিত অভিযোগ পান তাঁরা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ পড়ে টঙ্গী পূর্ব ও পশ্চিম থানায়। আংশিক তথ্যসূত্র: প্রথম আলো
এছাড়াও গাজীপুরের বেশকয়েকটি স্পট’কে ছিনতাইকান্ডে চিহ্নিত করা গেছে। এগুলো হলো– গাজীপুরা, সাতাইশ, ধরপাড়া, রাজনগর, গুটিয়া ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রোড, হজরত শাহজালাল (রহ.) রোড, খাঁপাড়া রোডের মাথা থেকে তিলারগাতী, বড় দেওড়া আক্কেল আলীর বাথান, মিত্তিবাড়ি বটতলা থেকে শ্মশান রোড, মোল্লাবাড়ি রোড, নান্দু মোড়ল রোড, হোসেন মার্কেট থেকে মোক্তারবাড়ি চৌরাস্তা, সফিউদ্দিন সরকার একাডেমি রোড, কলেজ রোডের মাথা থেকে আলকাছ কমিশনারের রাস্তা হয়ে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর কেয়া শারমিনের বাড়ির সড়ক, সুরতরঙ্গ রোড, চেরাগআলী থেকে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস রোড হয়ে বড় দেওড়া ফকির মার্কেট পর্যন্ত এলাকা।
এ ছাড়াও মুদাফা মাদ্রাসা মার্কেট, আন্দারুল, কাঁঠালদিয়া, কলাবাগান বস্তি, নিশাত বস্তি, লাল মসজিদ বস্তি, মিলগেট থেকে অলিম্পিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, টঙ্গী স্টেশন রোড থেকে কামারপাড়া ব্রিজ, সেনাকল্যাণ কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স রোড থেকে হোন্ডা কারখানা, হাজির মাজার বস্তি, দত্তপাড়া রেলগেট ও হোসেন মার্কেট এলাকায়ও ছিনতাই হচ্ছে প্রায়ই।
২০-২৫টি ছিনতাই ঘটে। তবে বেশির ভাগ ঘটনায় পুলিশ মামলা নেয় না বলেও রয়েছে অভিযোগ। মামলা হলেও ছিনতাই হিসেবে না দেখিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতির মামলা গ্রহণ করা হয়। টঙ্গী পূর্ব ও পশ্চিম থানা সূত্রে গেছে, গত ৬ মাসে এ দুই থানায় ছিনতাই ও ডাকাতির প্রস্তুতির মামলা হয়েছে ২৮টি। এর মধ্যে পূর্ব থানায় ২০টি মামলায় ১১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর পশ্চিম থানায় হওয়া ৮টি মামলায় গ্রেপ্তার ব্যক্তির সংখ্যা ৬০। তথ্যসূত্র: সমকাল


কোন মন্তব্য নেই