| |

আদিতমারীতে হিন্দু নারীকে পেটানোর ঘটনায় থানায় অভিযোগ

আব্দুস সামাদ লালমনিরহাট প্রতিনিধি, গাজীপুর টাইমস;

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের সামনে প্রকাশ্যে হিন্দু নারীকে পেটানোর ঘটনায় দলীল লেখক রুহুল আমিনের নামে থানায় অভিযোগ করেছেন চন্দনা রাণী। 

মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১ টার দিকে আদিতমারী সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের সাব-রেজিস্টার এর সামনে এ- ঘটনাটি ঘটে। 

ADS BY ADSTERRA

জানা গেছে আদিতমারী উপজেলার বৈরাগীর ভিটা কিসামত চন্দ্রপুর এলাকার অনিল চন্দ্র মোহন্তের দুই ছেলের মধ্যে জমি ভাগা ভাগি করে দেযার সময় ছোট ছেলে রনজিৎ কুমার ও তার ছেলে চন্দ্রন ও ছোট ছেলে স্ত্রী মিলে সু-কৌশলে ৯০ বছরের বৃদ্ধা বাবা কে ভুলিয়ে ভালিয়ে রেজিস্ট্রার অফিসে এনে নিজের নামে জমি লেখে নেওয়ার চেষ্টা করে।

ADS BY ADSTERRA

খবর পেয়ে বড় ছেলে অতুল চন্দ্র ও তার স্ত্রী,সাব- রেজিস্ট্রার অফিসে এসে ছোট ভাই রনজিৎ কুমার কে নিষেধ করে। কিন্তু রনজিৎ তার কোনও কথা না শুনে দলীল লেখক কে বলেন, আপনি দলীল পার করান কত টাকা লাগবে আমি দিব, এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দলীল লেখক রুহুল আমিন কৌশলে জমি দলীল রেজিস্ট্রার করাতে সাব- রেজিস্ট্রারের নিকট যাওয়ার সময় অতুলের স্ত্রী দলীল লেখক এর হ্তে পায়ে ধরে অনুরোধ করে বলেন, দাদা আমার শশুরের মাথা ঠিক নেই তার ৯০ উপরে বয়স তাকে যখন যেভাবে যে বলে তাই করে। আপনি দয়া করে ওয়ারিশদের মাঝে সম-বন্ঠনের ব্যবস্থা করুন। কিন্তু দলীল লেখক পাতি রুহুল তার কথায় কর্ণ পাত না করে প্রকাশ্যে সকলের সামনে তাকে ঘুষি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়, পরে পাশের লোকজন দৌড়ে এসে তাকে মাটি থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করা হয়। 

ADS BY ADSTERRA

এলাকায় এ ঘটনায়, চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পরে আদিতমারী উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার, বিষটি থানায় অবগত করলে আদিতমারী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাদের উভয়কে থানায় ডাকেন। 


উক্ত ঘটনার অতুলে মোহন্তের এর স্ত্রী চন্দনা রাণী বাদী হয়ে দলীল লেখক রুহুলের নামে নারী নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেন। 

এর আগে অতুল চন্দ্র ও তার মা শেফালী রাণী বাদী হয়ে সমুদয় জমি সম-বন্ঠনের জন্য আদিতমারী উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার ও ভাদাই ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বরাবরে অভিযোগ করেন। 

এদিকে আদিতমারী সাব,-রেজিস্ট্রার এর উভয় শরিকদের মাঝে সম-বন্ঠনের সদ ইচ্ছা না থাকা থাকায় দলীল লেখক রুহুল অফিসের সামনে এ আপত্তিকর নির্যাতনের ঘটনাটি ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন আদিতমারী উপজেলার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সুশীল সমাজ।

সৃষ্ট ঘটনায় এলাকাবাসী দলীল লেখক রুহুলের লাইসেন্স বাতিলের দাবী জানিয়েছেন। 

এ ব্যপারে আদিতমারী সাব-রেজিষ্টার রাশেদুজ্জামানের সঙ্গে মুঠো ফোনে আলোচনা করার চেষ্টা করে কয়েক বার ফোন দিলে ও তিনি ফোন রিসিব করননি।।

সৃষ্ট ঘটনায় আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাম্মেল হকের সঙ্গে আলোচনা হলে তিনি গণমাধ্যমে বলেন, তদন্ত করে জরুরী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

কোন মন্তব্য নেই